Saturday, December 4, 2010

জার্সি উৎসব

প্রথম পুরস্কার বিজয়ী সেজান লিঙ্কন

বাংলাদেশের ক্রিকেট জার্সির বিবর্তন অংশে পুরোনো দিনের জার্সি গায়ে এক মডেলের সঙ্গে রেম্পে হাঁটলেন জুনায়েদ সিদ্দিক। মাঠে এক-আধবার পা কাঁপলেও রেম্পে বাংলাদেশের ওপেনার দুর্দান্ত, সুনিপুণ মডেল; একটুও পা কাঁপল না। দর্শকের আসন থেকে তামিম-মুশফিকরা একটুউত্ত্যক্তকরার চেষ্টা করলেন, কিন্তু জুনায়েদ অবিচল। মুগ্ধ হলো সব দর্শক, গোটা ক্রিকেট-সমাজ। সারা দেশে থেকে আসা ৪২৩৮টি ডিজাইনের মধ্যে চূড়ান্ত নির্বাচিত পাঁচটির প্রদর্শন হলে পরে জিম্বাবুয়ের প্রধান নির্বাচক অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের কাছে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলেন অনুষ্ঠান সঞ্চালক। তাঁর মুখে সরস উত্তর, ‘আসলে মডেলদের দেখতে দেখতে জার্সিগুলো সেভাবে দেখা হয়নি। তবে সবকিছু খুব ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে, গোটা বাংলাদেশ বিশ্বকাপময় উঠেছে।
বিসিবির সহযোগিতায় গ্রামীণফোন ক্রিকেট দলের জন্য যেটা করল কাল, আসলেই সেটির সারা শরীরে ছড়িয়ে ছিল উৎসবের রং। তীব্র আলো, উচ্ছল সংগীতের সুরমূর্ছনা, লাল-সবুজের এই দেশের রঙিন উপস্থাপনা, লাস্যময়ী মডেলদের মঞ্চ কাঁপানো পারফরম্যান্স। আর এই আলোকিত মঞ্চ থেকে জার্সি ডিজাইনে প্রথম পুরস্কারটি জিতে নিলেন সেজান লিঙ্কন। শান্ত-মারিয়ম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ টেকনোলজির ফ্যাশন ডিজাইনার পাবনার তরুণ গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওডভার হেসজেডালের হাত থেকে নিলেন লাখ টাকা পুরস্কার। প্রথম রানারআপ হিসেবে নারায়ণগঞ্জের সৌরভ দাস (মিথুন) পুরস্কার পেয়েছেন লাখ টাকা। দ্বিতীয় রানারআপ রাজশাহীর হাবিবুল্লাহ আল এমরান পেয়েছেন লাখ টাকা পুরস্কার। এঁরা সবাই তরুণ ডিজাইনার, ভবিষ্যতে অনেক বড় হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে সবাই ডিজাইন করেছেন বাংলাদেশের জাতীয় আবেগ ক্রিকেট জার্সির। এই স্বপ্নগুলো কোথায় যেন মিলে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে। বাংলাদেশও তো একদিন হয়ে উঠতে চায় ক্রিকেটের বিশ্বশক্তি। কে বলতে পারে, এই তরুণ ডিজাইনারদের জার্সি গায়ে দিয়েই কোনো একদিন মাঠ থেকে আরও বড় বিজয় ছিনিয়ে আনবে না বাংলাদেশ দল। এটি অবশ্য পরের কথা। তবে কাল ্যাডিসন ওয়াটার গার্ডেন হোটেলের আলোকিত মঞ্চ থেকে ফেরার সময় মনে হলো, বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বকাপের দামামা। সাকিব, মাশরাফি, তামিম, আশরাফুলরা এই জার্সি উৎসব থেকে সেই ধ্বনিটা শুনতে পেয়েছেন। তাঁরা সারা দেশের মানুষের শুভকামনা নিয়ে তৈরি হচ্ছেন সেই লক্ষ্যেই